আমার কর্মদিশা প্রকল্পে চাকরি

 

আমার কর্মদিশা প্রকল্পে চাকরি

শিক্ষিতরা কাজ পাচ্ছেন না। পড়াশোনা করেও বেকার থাকতে হচ্ছে ছেলেমেয়েদের। ফলে সমাজে হতাশাগ্রস্থ যুবক-যুবতীর সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমশই একটা গোটা প্রজন্ম হতাশার অন্তরালে ডুবে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের এই সমস্যা দূর করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করেছে আমার কর্মদিশা প্রকল্প।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। সেইসঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার জন্য বেকাররা যাতে উপযুক্ত দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

আমার কর্মদিশা প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য

(1) আমার কর্মদিশা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যুবক-যুবতীদের কাজের দক্ষতা বাড়াতে নামকরা বেসরকারি সংস্থাগুলিতে ট্রেনিং ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দেবে সরকার।

(2) সরকারি আইটিআই-গুলিতেও বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

(3) বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বেকাররা নিজেদের পছন্দের পেশা বেছে নিতে পারবেন।

(4) ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা আমার কর্মদিশা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।

(5) সুযোগ মতো সরকারি অফিস এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থাও করে দেবে সরকার।

ইতিমধ্যে আমার কর্মদিশা প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকারীদের সামনে এক দুর্দান্ত সুযোগ এসে গিয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের, প্রতিটি এলাকায় যে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হয়েছে সেখানে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকারীদের মধ্যে অনেকেই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ পেয়েছেন।

আমার কর্মদিশা প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন?

রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি দুয়ারে সরকার শিবিরে যে ৩৬ টি প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে আমার কর্মদিশা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্যআবেদন জানানো যাবে। তবে শুধু দুয়ারে সরকার শিবির নয়, রাজ্য সরকারের অন্যান্য বিভাগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাতেও আমার কর্মদিশা প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি হবে। এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন বড় বেসরকারি সংস্থায় বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।

এই নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে এই মুহূর্তে ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরও অনেকটা বাড়বে।

আমার কর্ম দিশা প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে। তবে সেটা সহজেই আপনার স্মার্টফোনে আমার কর্ম দিশা অ্যাপ ডাউনলোড করে বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন।

দরকারি কাগজপত্র

(1) আধার কার্ড

(2) ভোটার কার্ড

(3) ইনকাম সার্টিফিকেট

(4) শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট


/বাংলায় গত কয়েক বছর ধরে কর্মসংস্থানের অভাব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক আলোচনা যদি বাদ রাখা যায় তবে এটা বাস্তব যে কাজের খোঁজে রাজ্য থেকে বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্য, এমনকি ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছে।

/তবে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার এমন এক প্রকল্প নিয়ে এসেছে যার জন্য আর আপনাকে কাজ খুঁজতে অফিসে অফিসে ঘুরতে হবে না। বদলে সরকার আপনাকে খুঁজে কাজ দেবে। এই নতুন প্রকল্পের নাম আমার কর্ম দিশা (Amar Karmadisha) এমনকি এই নতুন প্রকল্পের হাত ধরে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার শিবির আবার চালু হতে চলেছে সেখানেও আপনি কাজ পেয়ে যেতে পারেন!

/গত দুবছর ধরে দুয়ারে সরকার শিবির হচ্ছে। ফলে এগুলি কেমনভাবে হয়, এখানে কাজ করার পদ্ধতি কী সে সম্বন্ধে রাজ্যবাসীর ভালোই ধারণা হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি ব্লকে অসংখ্য দুয়ারে সরকার শিবির হয়। ফলে বুঝতেই পারছেন গোটা রাজ্যে কতগুলো শিবির বা ক্যাম্প হয়।

/এই শিবিরগুলোতে এসে বাংলার সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের প্রায় ৩৫ টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই তাঁদের আবেদন গ্রহণ, সরকারি ওয়েবসাইটে তা নথিভুক্ত করা এবং যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই আবেদন অনুযায়ী মানুষের কাছে প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচুর ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের দরকার হয়। রাজ্য সরকার সূত্রে খবরআমার কর্মদিশা প্রকল্পের মাধ্যমে দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্যের যোগ্য বেকারদের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

/রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছেআগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হতে চলেছে সেখানে আমার কর্ম দিশা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানানো যাবে। তবে শুধু দুয়ারে সরকার শিবির নয়, রাজ্য সরকারের অন্যান্য বিভাগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাতেও আমার কর্ম দিশা প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি হবে।

/এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন বড় বেসরকারি সংস্থায় বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। এই নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে এই মুহূর্তে ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। যা ভবিষ্যতে আরও অনেকটা বাড়বে।

/আমার কর্ম দিশা প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে। তবে সেটা সহজেই আপনার স্মার্টফোনে আমার কর্ম দিশা অ্যাপ ডাউনলোড করে বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন।

 

 

Post a Comment

0 Comments